নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হতে আবেদনের সুযোগ নেই: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
পেঁয়াজের মূল্যহ্রাস
হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা।
দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় যেসব জেলায় তার মধ্যে অন্যতম নাটোর। নাটোর সদরের বড় নলডাঙ্গার হাট ঘুরে পেঁয়াজের মূল্যহ্রাসের চিত্র পাওয়া গেছে।
কৃষকরা জানান, পাইকারী বাজারে প্রতি মণ প্রকারভেদে পেঁয়াজ বেচাকেনা হয়েছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। এতে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। অথচ গত এক সপ্তাহ আগে পাইকারী বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সামনে চারা পেঁয়াজ ওঠা শুরু হলে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এবার নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলাসহ জেলার সাতটি উপজেলাতেই কমবেশি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। শুরুতে ভালো দাম পেলেও গত এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকায় কৃষকদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমায় কিছুুটা স্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ ক্রেতারা। নলডাঙ্গা উপজেলার সবচেয়ে বেশি ল্যালা পেঁয়াজ চাষ হয় হালতি বিল, মাবধপুর বিল, শ্যামনগর, বাঙ্গালপাড়া, হলুদঘর, ছাতারভাগ, বাঙ্গালখলসি মাঠে। এখন পুরোদমে পেঁয়াজক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রির জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষক পরিবার। মৌসুমের শুরুতে নলডাঙ্গার হাটে ল্যালা পেঁয়াজ প্রতি মণ দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
পাইকারী বাজারে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এক দফা পেঁয়াজের দাম কমে দাঁড়াল এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কমে এক হাজার থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। পেঁয়াজের দাম কমতে থাকায় ক্রেতাদের স্বস্তি ফিরে এলেও হতাশায় ভুগছে প্রান্তিক কৃষকরা। নলডাঙ্গা উপজেলার সোনাপাতিল গ্রামের কৃষক রাজু বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমিতে ল্যালা পেঁয়াজ চাষে সব মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে ৪৮ মণ পেঁয়াজ পেয়েছি। গত এক সপ্তাহ আগে আমি ৯ মণ পেঁয়াজ হাটে নিয়ে প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার ৭৯০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্ত মঙ্গলবার হাটে প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২৭০ টাকা।’ পাবনার দাসুরিয়া এলাকার ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী বলেন, ‘গত শনিবার হাটে আমি প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার থেকে এক হাজার ২৬০ টাকা দরে কিনে নীলফামারী জলঢাকার মোকামে পাঠিয়েছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় চলতি বছর ছয় হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভের মুখ দেখেছে। তবে সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে যাওয়ায় কৃষকদের লাভ কম হবে।’
কমেন্ট