‘প্রীতিই প্রথমে চড় মেরেছে,’ বিস্ফোরক পরিচালক

‘প্রীতিই প্রথমে চড় মেরেছে,’ বিস্ফোরক পরিচালক

‘নারীবিদ্বেষী’, ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সিনেমা আখ্যা দিয়ে চিত্রসমালোচকদের অনেকেই কঠোর সমালোচনা করলেও বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হয়েছে শহিদ কাপুরের নতুন সিনেমা ‘কবির সিং’। বিশেষ করে নারীবাদীরা কঠোর সমালোচনা করছেন এই ছবির। সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখা যায়, প্রীতির পরিবার যখন কবিরকে প্রত্যাখ্যান করে, তখন কবিরকে ছেড়ে না যাওয়ার জন্য প্রীতি অনুরোধ করে। তবুও প্রত্যাখ্যানের রাগে-ক্ষোভে প্রীতিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে চড় মারে কবির। সিনেমায় শারীরিক নির্যাতন নিয়ে তোপের মুখে পড়েন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গা। তার জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সন্দীপ বলেন, ‘চড় মারার স্বাধীনতা না থাকলে কিসের প্রেম।’ পরিচালকের এ মন্তব্যে তোলপাড় বি-টাউন। সমালোচনার পর পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গা বলেছেন, তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিনোদন সংবাদমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সন্দীপ বলেন, তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তা থেকে সামান্য অংশই ব্যবহার করা হয়েছে। ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁর মন্তব্য। তাই কেউ জানতেই পারেননি, আসলে তিনি কী বলেছেন। আর সে কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ‘বাজেভাবে আমার মন্তব্য সম্পাদনা করা হয়েছে। তাই নারীদের একাংশ আমাকে আক্রমণের আরেকটি সুযোগ পেয়েছে,’ বলেন সন্দীপ। সিনেমায় কবির ও প্রীতির তীব্র ভালোবাসাকে প্রাধান্যের কথাও বলেন পরিচালক সন্দীপ। বলেন, ‘আমি কখনো বলিনি একজন চড় মারতে পারবে। বলেছি, সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরোপুরি সৎ থাকা উচিত। এবং সেই সততা সহিংসতায়ও রূপ নিতে পারে। কবির তাঁর প্রেমিকা প্রীতিকে চড় মেরেছে, কেন শুধু এটা নিয়ে এত কথা হচ্ছে? সেও তো তাকে চড় মেরেছে, সেটা? দুজনই এটা করেছে।’ নির্মাতা সন্দীপ আরো বলেন, প্রথমে কবিরকে চড় মারে প্রীতি, পরে কবির মারে। এই চিত্রনির্মাতার মত, প্রকৃত ভালোবাসা সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এর আগে চিত্রসমালোচকদের ‘পরজীবী’ আখ্যা দিয়ে সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গা বলেছিলেন, ‘সম্ভবত তাঁদের কখনো ঠিকঠাক ভালোবাসার অভিজ্ঞতা হয়নি। তাঁরা শুধু নারীবাদী দিকটাই দেখছেন, এর বাইরে কিছুই বলছেন না। ওরা (সমালোচক) আমাকে ঘৃণা করেন।’ ‘কবির সিং’ সিনেমার নামভূমিকায় রয়েছেন শহিদ কাপুর। আর প্রীতির চরিত্রে কিয়ারা আদভানি। সিনেমার গল্পে রয়েছে, সাবেক প্রেমিকা প্রীতির অন্যত্র বিয়ের পর ছন্নছাড়া হয়ে যায় কবির সিং। এরপর আত্মবিধ্বংসী পথ বেছে নেয় কবির। সারাক্ষণ মদ আর ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ে। হয়ে পড়ে আত্মনিয়ন্ত্রণহীন। মারপিটের দৃশ্যও রয়েছে। শহিদ ও কিয়ারার চুমুর দৃশ্য ঝড় তুলেছে অন্তর্জালে। ভারতের বক্স অফিসে ছবিটি এ পর্যন্ত ২৩৯ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে।
দাবাং-থ্রি নিয়ে সোনাক্ষীর বক্তব্য পূর্ববর্তী

দাবাং-থ্রি নিয়ে সোনাক্ষীর বক্তব্য

‘তেরে নাম টু’-তে সালমান খান থাকছেন তো? পরবর্তী

‘তেরে নাম টু’-তে সালমান খান থাকছেন তো?

কমেন্ট