
প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা-বাগানের ভূমি আত্মসাৎ মামলায় সিলেটের ব্যবসায়ী রাগীব আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার বাদী সিলেট সদর উপজেলার সাবেক ভূমি কমিশনার এসএম আব্দুল হাইসহ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান বলেন, রাগীব আলীসহ ছয় আসামির উপস্থিতিতে সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে বাদী আব্দুল হাইসহ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটিতে মোট ৩৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। গত ৪ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়।
পিপি মাহফুজুর রহমান বলেন, একই ঘটনায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এটি এখন সাফাই সাক্ষ্য শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের অপেক্ষায়। মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন - রাগীবের ছেলে আব্দুল হাই, তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, রাগীবের জামাতা আবদুল কাদির ও মেয়ে রুজিনা কাদির।
আসামিদের মধ্যে রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই আটক থাকলেও অন্য চারজন জামিনে আছেন। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে তারাপুর চা-বাগান দখল করেন। ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা তারাপুর চা-বাগানের পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। আত্মসাতের প্রক্রিয়ায় আসামিরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জাল করেন।
কমেন্ট