প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বেশ কিছু সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে গঠিত সংস্কার কমিশন। সেই কমিশন আজ সোমবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট তাদের প্রতিবেদন পেশ করেন।
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের সদস্য করা হয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এস এম রেজা, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, ডা. আজহারুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফকে।
এর আগে, এই কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। যেখানে স্বাস্থ্য খাতের সুপারিশ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপ-প্রেস সচিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে গঠিত সংস্কার কমিশন আজ তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। এটা খুবই প্রত্যাশিত যে তারা এমন কিছু সুপারিশ করবেন যা বাস্তবায়ন করা গেলে স্বাস্থ্য সেবা খাতে মৌলিক কিছু পরিবর্তন আসবে এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।’
স্বাস্থ্য সেবা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে কেমন সুপারিশ থাকছে তা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘যতদূর জেনেছি, এমন একটা সুপারিশ তারা করতে যাচ্ছেন যাতে বলা আছে, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর সরাসরি হাসপাতালে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের ওষুধের কথা জানাতে হবে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এটা বাস্তবায়ন করা গেলে ডাক্তারদের সময় বাঁচবে, এক্ষেত্রে ঘুষ, উপহার লেনদেন অনেকটাই কমে আসবে এবং কোম্পানিকে খুশি করতে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করা বন্ধ হবে।’
আজাদ মজুমদার আরও লিখেছেন, ‘প্রেসক্রিপশনে যদি ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে বাধ্য করা যায় সেটাও হবে একটা বড় সংস্কার। আশা করছি, কমিশনের রিপোর্টে এই বিষয়েও একটা দিক-নির্দেশনা থাকবে।’
কমেন্ট