ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ: আইএসপিআর
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে ভয়ের কিছু নেই : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
ঢাকাভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে আমরা যতটা ভয় পাচ্ছি ততটা ভয়ের কিছু নেই। কারণ, বাণিজ্য অর্থনীতিতে চূড়ান্ত শত্রু বলে কিছু নেই।’
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. দেবপ্রিয়।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা শুরু হয়েছে। আমাদের ওপর ট্যারিফ দিলে, এটা তাদের জন্যও ক্ষতি। তাদের পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে। কারণ, শুল্কের দাঁত তাদের ওপরও পড়বে।
তাই আমাদের ওপর শুল্কের আঘাত তুলনামূলক আসছে না।’
এ সময় ড. দেবপ্রিয় এলডিসি (লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিজের তালিকা) গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে দুই বছর রয়েছে। এই সময়টা আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি কি না সেটা দেখতে হবে।
শুধু ট্রেড পলিসি দিয়ে এই ট্যারিফ মোকাবেলা করা যাবে না, পণ্য বৈচিত্র্যকরণে যেতে হবে। আমাদের শক্তির জায়গা থেকে চিন্তা করতে হবে। আমাদের মনোযোগ পণ্যের চেয়ে সেবা খাতে বেশি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইউএস ট্যারিফ বিষয়ে আমাদের সরকারের প্রাথমিক রি-অ্যাকশনটা ঠিকই ছিল। আমাদের হাত-পা কাঁপানোর দরকার নেই।
’ তিনি সরকারের সংস্কারকাজে ব্যক্তি/বেসরকারি খাতকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নেগোসিয়েশন দক্ষতা কম। নেগোসিয়েশন দক্ষতা আরো বাড়াতে হবে।’
পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘দুই হাতি যখন মারামারি করে, তখনো নিচের ঘাস ক্রাশ (দলিত-মথিত) হয়। আবার তারা খেলা করলেও ঘাস ক্রাশ হয়। সুতরাং চায়না এবং ইউএস-এর এই যুদ্ধে আমাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে।’
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইউএস ট্যারিফ মোকাবেলায় তুলার জন্য ওয়্যারহাউস তৈরিসহ নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
কমেন্ট