ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স নিয়ে রিভিউ শুনানি ১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স নিয়ে রিভিউ শুনানি ১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি

দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদা নির্ধারণসংক্রান্ত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (পদমর্যাদা ক্রম) নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।

আজ রোববার (১৮ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।

আদালতে তিনি আপিল বিভাগের পূর্বের রায়টি পড়ে শোনান এবং এক মাস সময় চান। তবে আদালত সময় দিতে না চাইলে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, এটি হবে তাদের পক্ষ থেকে সর্বশেষ সময় আবেদন। এরপর আদালত ১ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

 

অ্যাটর্নি জেনারেলে অফিসের ডিএজি ও এএজিদের পক্ষে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, বিচারপতিরা যখন সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দিতে পারেন, তখন তাদের পদমর্যাদা যদি সংশ্লিষ্ট সচিব বা কর্মকর্তার পরে থাকে, তাহলে তা বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

আহসানুল করিম আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতিরা ও অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত, অথচ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তাদের অবস্থান অনেক পেছনে দেখানো হয়েছে।


আদালত ভারতের উদাহরণ জানতে চাইলে আইনজীবী জানান, ভারত একটি বড় দেশ, তাদের প্রশাসনিক কাঠামো ভিন্ন। বাংলাদেশের পদ্ধতি আলাদা ও ইউনিক, তাই দেশীয় বাস্তবতা অনুযায়ী পদক্রম ঠিক করা উচিত।

এর আগে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ এক রায়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধনের নির্দেশ দেন। সেই রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের উচ্চ মর্যাদায় রাখতে হবে। জেলা ও দায়রা জজদের পদমর্যাদা সচিবের সমান করা হয়, আর প্রধান বিচারপতির মর্যাদা স্পিকারের সমান করা হয়।

 

এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর ২০১৭ সালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান রিভিউ আবেদন করেন। পরে ডিএজি ও এএজিরাও এতে পক্ষভুক্ত হন।

শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক পরবর্তী

শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

কমেন্ট