যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে আছে: ওবায়দুল কাদের
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হাইকমোড, দাম কত জানেন?
চমকপ্রদ কিছু হলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা যায়। নতুনত্ব, অভিনব কিছু দেখলেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন নেটিজেনরা।
সেসব পোস্টের অনেকগুলোই হু হু করে ভাইরাল হয়ে ওঠে। তাই বলে ভাইরাল হলো টয়লেট কমোডের ছবি!
সম্প্রতি ফেসবুক, টুইটারে নানা জনের টাইমলাইনে একটি শৌচাগারের ছবি ঘুরপাক খাচ্ছে। যেখানে একটি খোলা টয়লেট কমোডের ছবি রয়েছে।
এ ছবি ভাইরাল হওয়ার পেছনের কারণ, যেনতেন টয়লেট কমোড নয় এটি, আগাগোড়া সোনায় মোড়ানো এ কমোড।
শুধু সোনাই নয়, রীতিমতো হিরা দিয়েও সাজানো হয়েছে এটি।
বহু মূল্যের এ টয়লেটের ছবি রীতিমতো ঝড় তুলেছে।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সাংহাইতে আয়োজিত চীনের আন্তর্জাতিক ইমপোর্ট এক্সপো (সিআইআইই) এ স্বর্ণ ও হিরক খোঁচিত টয়লেড কমোডটি প্রদর্শিত হয়। এর নির্মাতা হংকংয়ের অলঙ্কার ব্র্যান্ড ‘করোনেট'।
ডেইলি মেইলকে করোনেট জানিয়েছে, তাদের তৈরি এই হাইকমোডটি বুলেট প্রুফ। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি হাইকমোড এটি। কারণ এর আসনে সব থেকে বেশি হিরা বসানো হয়েছে। শৌচাগারটি নির্মাণে বুলেট প্রুফ কাঁচ ব্যবহৃত হয়েছে। সেই সঙ্গে, ৪০, ৮১৫টি হিরাও ব্যবহৃত হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৩৪.৬৮ ক্যারেট হিরা দিয়ে তৈরি এই মহার্ঘ্য টয়লেট।
কত দাম হতে পারে সোনা-হিরায় মোড়ানো হাইকমোড বসানো এই শৌচাগারটি?
করোনেট জানিয়েছে, এর মূল্য তেরো লাখ ডলারের থেকে কিছুটা বেশি। বাংলাদেশি মূদ্রায় ১১ কোটি টাকারও বেশি!
এতো টাকা মূল্যের শৌচাগার কেউ কিনবে কি? করোনেট এর সত্ত্বাধিকারী অ্যারন শুম জানিয়েছেন, আপাতত এটি বিক্রি করার কোনো ইচ্ছা নেই তার। তবে কেউ যদি খুব পছন্দ করে কিনতে চান তবে তিনি মানা করবেন না।’
ডেইলি মেইলকে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা হিরার শিল্প জাদুঘর বানাতে চাই, এই শৌচাগারটি সেখানে শোভাবর্ধন করবে। ’
অ্যারন শুম তার এই হাইকমোডটি বিক্রি করুক বা না করুক সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি তোলপাড় করেছে। অনেকেই এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। আবার অনেকে বিষয়টিকে ‘হাস্যকর, অপচয় ও রুচিহীন কাজ বলে কটাক্ষ করেছেন।
কমেন্ট