আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের মালিক বিএনপি নয়, সিদ্ধান্ত জনগণের : মঈন খান

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের মালিক বিএনপি নয়, সিদ্ধান্ত জনগণের : মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না, সেটা তো বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয়। এটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে তারা তাদের বক্তব্যে বলেছে। কাজেই এখানে আমরা বিএনপি হিসাবে তো এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক নই। আমাদের মহাসচিব ইতোমধ্যে বলেছেন এটা জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কিনা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ' যুক্তরাষ্ট্র দ্য কার্টার সেন্টারের' প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা আরও বলেন, আমি যদি বলি এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগকে কেন জিজ্ঞেস করছেন না কেন? তারা কি আসলেই নির্বাচন করতে চায়, তারা কি আসলেই গণতন্ত্র চায়? সেটাতো আওয়ামী লীগকে বলতে হবে। আজকে ৯ মাস হয়ে গেছে একজন আওয়ামী লীগারকে আজকে পর্যন্ত দেখাতে পারবেন কি তারা বলেছেন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় যে মানুষের ওপর জুলুম করেছে, এ দেশকে তছনছ করে দিয়েছে, লুটপাট করে নিয়েছে, তারা ভুল করেছে, তারা ক্ষমা স্বীকার করছে বাংলাদেশের মানুষের কাছে, তারা আজকে জনগণের মতামতকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়‌। আওয়ামী লীগের একটি লোকও কি তা বলেছে? বলেনি। সুতরাং প্রশ্নটি আমাকে জিজ্ঞেস করার কোনো প্রয়োজন নাই, এর উত্তর বাংলাদেশের জনগণ দিবে।

বৈঠকে নিয়ে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কিন্তু নজির রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক  সরকার ৯০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে। কিন্তু আজকে পর্যন্ত যে নির্বাচনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এটা বুঝতে হবে যে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে গেলেই নির্দিষ্টকালের জন্য সময়সূচি নিতে হবে তা কিছু নয়। ৯০ দিনের মধ্যে করা সম্ভব। অথচ ইতোমধ্যে ৯ মাস হয়ে গেছে। এটা নিয়ে কিন্তু মানুষের আলোচনায় আসবে। আমরা যদি নাও করি মানুষ কিন্তু ঠিক থাকবে না, কথা বলছে। এটা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বিএনপি কখন নির্বাচন প্রত্যাশা করছে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট আমরা বলেছি এ বছরে শেষ নাগাদ যদি নির্বাচন হয় তাহলে তা জনগণের জন্য অত্যন্ত ভালো হবে। আমরা বিশ্বাস করি যদি অহেতুক কোনো বিলম্ব হয় তাহলে যে সমস্যাটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আজকে বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি সেটা কিন্তু ৫ আগস্টের ঠিক পরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তার চেয়ে কম নয়। যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা কোন কারণে বিঘ্নিত হয়, তা  মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে। জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি যেটা নির্ধারিত হতে পারে তা একমাত্র একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই। সেই নির্বাচন যথাশীঘ্রই আমরা দেখতে চাই। তাহলেই সেটা বাংলাদেশের জন্য কল্যাণকর হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন- স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের  একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ।

কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিটের নেতৃত্বে ছয় সদস্য প্রতিনিধি দলে ছিলেন- সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর তারা শরিফ, ডেটা সায়েন্টিস্ট মাইকেল বালদাসারো, ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের  অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর সাইরাহ জাইদি, প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট পিস প্রোগ্রাম,  ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের ড্যানিয়েল রিচার্ডসন, স্থানীয় মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ কাজী শহীদুল ইসলাম। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন। সেই লক্ষ্য তারা প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি'র সঙ্গে বৈঠকে করেছেন।

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে যা বললেন জামায়াত আমির পরবর্তী

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে যা বললেন জামায়াত আমির

কমেন্ট