বাংলাদেশের কাছে হার সবচেয়ে খারাপ স্মৃতি: টেন্ডুলকার
১০ বছরে বদলে গেছে অনেক কিছু। সেই সময়ের বাংলাদেশকে যেভাবে দেখা হতো, যা বলা যেত এখন তা সম্ভব নয়। এখন বাংলাদেশের জয়কে কেউ 'আপসেট' বলে চালিয়ে দিতে পারে না। কিন্তু সেই ১০ বছর আগে বাংলাদেশের কাছে হারের স্মৃতি এখনো পোড়ায় 'ক্রিকেট ঈশ্বর' শচীন টেন্ডুলকারকে। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারতকে!
প্রায় এক দশক কেটে গেলেও ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই লজ্জার দিনগুলোকে ভুলতে পারেননি শচীন টেন্ডুলকার। এখনও সেই দিনগুলোকেই ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে খারাপ সময় বলে মনে করেন ক্রিকেট লিজেন্ড। মাষ্টার ব্লাষ্টার বলেছেন, '২০০৭ সালটা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে খারাপ সময়। আমরা নূন্যতম শেষ আটের যোগ্যতাও অর্জন করতে পারিনি। ওটা সবচেয়ে খারাপ স্মৃতি। বিশ্বকাপে লজ্জার সেই হারের পরই ভারতীয় ক্রিকেট নতুন করে নিজেদের গুছিয়ে নেয় এবং ঘুড়ে দাঁড়ায়। '
ওপেনিং রাউন্ডে বাংলাদেশের কাছে হারের পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারত।
দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছেও পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের এই দুই ম্যাচে জঘন্য পারফরম্যান্সের জন্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটি থেকে ভারতীয় দলকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। সমালোচনা তো চলছিলই, দেশে ফিরে আবার পড়তে হয়েছিল সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ভারতীয় ক্রিকেটে আমূল পরিবর্তন করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কাঁধে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। অধিনায়কের পদে অভিষিক্ত হয়েই বাজিমাত করেন ধোনি। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ধোনির হাত ধরেই ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়। ৪ বছরেই বিশ্বকাপ হারের কলঙ্ক ভুলে ২৮ বছর পর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে নতুন করে ইতিহাস গড়ে ধোনি অ্যান্ড কোং। ক্যারিয়ারে দীর্ঘ ২১ বছর অপেক্ষার পর ধোনির নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নপূরণ করেন শচীন।
কমেন্ট