বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রতি তামিমের কৃতজ্ঞতা
ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা। ভয়ংকর সেই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকায় বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তামিম।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন ৫০ জন। হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছের নূর মসজিদেই ঘটেছে হতাহতের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। যেখানে জুমার নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ দল।
তামিমদের বহনকারী বাস মসজিদের কাছাকাছি যেতেই তারা জানতে পারেন, সেখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সে সময় তাদের সঙ্গে ছিল না কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি, এমনকি কোনো নিরাপত্তা কর্মকর্তাও।
দলের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল তখন। তামিম তখন ফোন করে সহায়তা চান ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসামের কাছে।
হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছে থাকা ইসামকে ফোন করে তামিম বলেন, ‘ভাই এখানে গোলাগুলি হচ্ছে, আমাদের বাঁচান।’ ইসাম প্রথমে ভেবেছিলেন তামিম তার সঙ্গে মজা করছেন। কিন্তু তামিম আবারো ফোন দিলে তিনি বুঝতে পারেন ঘটনার গুরুত্ব। আরো দুজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে তামিমদের সাহায্য করতে স্থানীয় এক নারীর গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ইসাম।
ইসামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তামিম টুইট করেছেন, ‘আপনি আমাদের জন্য যা করেছেন, তার জন্য শুধু ধন্যবাদ যথেষ্ট নয়। আমরা ভাবতেই পারিনি কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই শুধু মানবিকতার খাতিরে আপনি দৌড়ে আমাদের বাঁচাতে চলে আসবেন। আপনার অবদানের কথা আমরা আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মনে রাখব।’
ওই সময় ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকা দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট পরে ঘটনার বর্ণনায় বলেছিলেন, ‘মসজিদ আমরা বাস থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম। আমরা হয়তো ৫০ গজ দূরে ছিলাম। আর যদি ৩-৪ মিনিট আগে চলে আসতাম; তাহলে আমরা মসজিদেই হয়তো থাকতাম। হয়তো বিশাল, ভয়ানক একটা ঘটনা ঘটে যেতে পারত।’
৮-১০ মিনিট বাসে বসে থাকার পর নেমে হ্যাগলি পার্কের ভেতর দিয়ে হেঁটে মাঠে ফেরেন তারা। সে সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ইসামসহ বাংলাদেশের তিন সাংবাদিকও।
কমেন্ট