বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার সরাসরি ফ্লাইট নেই। চারটি রুটে পাকিস্তানে যাওয়ার পথ খোলা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ভ্রমণ ঝুঁকি এড়াতে ক্রিকেটারদের চার্টার্ড ফ্লাইটে পাকিস্তানে নেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, দুবাই ও দোহা হয়ে পাকিস্তানে যাওয়া যায়। এর আগে বাংলাদেশ থেকে যে তিনটি দল (নারী, ইমার্জিং ও বিসিবি অনুর্ধ্ব-১৭) পাকিস্তান সফর করেছে প্রত্যেকেই গিয়েছিল কাতার এয়ারলাইন্সে দোহা হয়ে। এবার জাতীয় দলের জন্য শুরুতে একই পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি। কিন্তু দীর্ঘ ভ্রমণ এড়াতে বিসিবি বিশেষ বিমানে লাহোর পৌঁছার ব্যবস্থা করছে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার ভেতরেই পৌঁছে যাবে গন্তব্যে। দল একইভাবে ফিরবে ২৮ জানুয়ারি সকালে। চার্টার্ড ফ্লাইট ও দোহা দু’ভাবেই পাকিস্তানে পৌঁছালে খরচ পড়বে একই। কিন্তু দোহা হয়ে পাকিস্তান গেলে ৯-১০ ঘন্টা সময় লাগবে। স্বল্প দূরত্বে দীর্ঘ এ ভ্রমণ এড়াতে চাইছে বিসিবি। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বিসিবি থেকেও দীর্ঘ বহর যাচ্ছে পাকিস্তানে। বিসিবি সভাপতি নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি পাকিস্তান যাবেন। ক্রিকেটারদের থেকে থাকবেন, খাবেন। সফর শেষে একইসঙ্গে ফিরবেন। তার সফরসঙ্গী হবেন বিসিবির কয়েকজন পরিচালক এবং প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। এরই মধ্যে ৩৩ জনকে মাল্টিপল ভিসা দিয়েছে পাকিস্তান দূতাবাস। দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং বিসিবির কর্মকর্তা মিলে সংখ্যাটা ৩৩ জনে গিয়ে ঠেকেছে। টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্ট ও ওয়ানডের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের ভিসা একসঙ্গে নিয়ে রেখেছে বিসিবি।