যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ‘যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত ভারত-পাকিস্তান
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজন করতে চায় ভারত
ভারত ২০২৭ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী গ্রীষ্মেই আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জমা দেবে বিসিসিআই। খবরটি জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ভারতে অনুষ্ঠিত হলে ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালীন সূচিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।
এছাড়াও, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসির জন্য লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। সম্প্রতি কাশ্মীরে হামলার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপার লিগে স্থগিত করা হয়। আইপিএল বন্ধ করা হয় সাময়িক সময়ের জন্য।
এর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ফাইনালই অনুষ্ঠিত হয়েছে ইংল্যান্ডে—২০২১ সালে সাউদাম্পটনের রোজ বোল এবং ২০২৩ সালে ওভালে। এছাড়া, এই বছরের ফাইনাল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে আগামী মাসে লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে জিম্বাবুয়েতে আইসিসির চিফ এক্সিকিউটিভদের বৈঠকে ২০২৭ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ভারত। বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী অরুণ সিং ধুমাল আইসিসির কমিটিতে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন, আর তার পূর্বসূরি জয় শাহ আইসিসির বর্তমন চেয়ারম্যান।
তাই ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব অনুমোদনের সম্ভাবনা অনেকটাই নিশ্চিত বলে ধরা হচ্ছে।
তবে আইসিসির উদ্বেগ রয়েছে, ভারত ফাইনালে উঠতে না পারলে ভারতে দর্শক সাড়া কম হতে পারে। বিপরীতে, ইংল্যান্ডে প্রতিটি ফাইনালে মাঠ ভরপুর দর্শক পেয়েছে। আগামী মাসে লর্ডসে হওয়া ফাইনালের প্রথম চার দিনের টিকিট ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।
এছাড়াও, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে কোনো দল যদি ফাইনালে উঠে, তবে ভেন্যু পরিবর্তন বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
চলতি বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত পাকিস্তান সফরের অনুমতি না দেওয়ায় তাদের সব ম্যাচ এবং ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে দুবাইয়ে। ভারত এবছর নারীদের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে, যেখানে পাকিস্তানও অংশ নেবে। তবে পাকিস্তান কোথায় খেলবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে মতবিরোধের পর আইসিসি একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে যে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে ভারতের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হবে, এবং ভারতে আয়োজিত টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ম্যাচও অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হবে। এই চুক্তি এই বছরের নারী বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ সালের পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (যৌথভাবে আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা) ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
কমেন্ট