একটা সময় ছিল যখন আর্জেন্টিনার খেলা হলেই লিওনেল মেসিকে কথা শুনতে হতো। মেসি আর্জেন্টিনার নন, বার্সেলোনার। তবে সব শেষ কয়েক বছরে পুরো চিত্রই পাল্টে দিয়েছেন ফুটবল কিংবদন্তি। আর্জেন্টিনাকে একের পর এক ট্রফির সঙ্গে ৩৬ বছর পর কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপটাও এনে দিয়েছেন তিনি।

নিজের আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করা মেসি এখন আর্জেন্টিনার সমর্থকদের খুবই আপন। এতটাই যে ৩৭ বছর বয়সী তারকার এখন অবসরের কথা উঠলেই হা হুতাশ করেন সমর্থকরা। তারা চান যেকোনোভাবেই হোক ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলুক মেসি।

 
মেসির মতোই সেই সমস্যায় এখন পড়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।

ব্রাজিলের হয়ে খেলতে নামলেই তাকে শুনতে হয় কথা। ২৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকার সেলেসাওদের নন, রিয়াল মাদ্রিদের। শিষ্যকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতেই এবার কিছু করতে চান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কি করলে রিয়ালের ভিনিই ব্রাজিলের হবেন সেটা আনচেলত্তির থেকে আর কে বা ভালো জানে।

কেননা তার মেয়াদেই রিয়াল স্ট্রাইকারের উড়ন্ত শুরু হয়েছে। এতটাই যে, বর্তমান সময়ের সেরা লেফট উইঙ্গার ধরা হয় তাকে। কিন্তু ব্রাজিলের জার্সি গায়ে নামলেই হিরো থেকে জিরো হয়ে যান তিনি। ক্লাব-জাতীয় দল সব জায়গাতেই ভিনিসিয়ুস সব সময় হিরো থাকবেন এটাই চান আনচেলত্তি। তাই ইতালিয়ান কোচ জানিয়েছেন, এখন সময় এসেছে ভিনিসিয়ুসের, রিয়ালের হয়ে যা করেন দেশের হয়েও করার।

ব্রাজিলের নতুন কোচ বলেছেন, ‘জানি না, সে এখানে সেরাটা দিয়েছে কি না, তবে তার সময় এসেছে রিয়ালের হয়ে যা করে এখানেও (ব্রাজিল দলে) সেটাই দেখানোর। আমাদের জন্য সে দলের মূল খেলোয়াড়। আমাদের কাজ করতে হবে এখানে সে সেরা পারফর্ম করবে এটা নিশ্চিত করা।’
আগামীকাল ভোরে সেই ছন্দটাই হয়তো দেখা যেতে পারে। কেননা বাংলাদেশ সময় ভোর ৫ টায় কাল ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে সেলেসাওরা। এ দিনই পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে ডাগআউটে অভিষেক হবে আনচেলত্তিরও। ম্যাচে ব্রাজিল দলগতভাবে পারফরম্যান্স করুক এমনটাই চান তিনি। ৬৫ বছর বয়সী কোচ বলেছেন, ‘এখনকার সময় ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যথেষ্ট নয়। আপনাকে অ্যাটিটিউট, কমিটমেন্টের সঙ্গে দলীয় সমন্বয় করতে হবে।’