ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে ইয়ানিক সিনারের কাছে সরাসরি হেরে বসেছেন। এরপর কোর্ট ছেড়ে যাওয়ার আগে নোভাক জকোভিচ করে বসলেন এমন একটা কাণ্ড, যা তিনি সচরাচর করেন না। ব্যাগটা নামিয়ে মাটিতে হাত দিলেন, এরপর বিদায় নিলেন প্যারিসের দর্শকদের কাছ থেকেও। তা দেখে মনে হচ্ছিল, রোলাঁ গারোঁর ফিলিপে শাতিয়ে কোর্টে বুঝি এবারই শেষ দেখা গেল তাকে।

৩৮ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান তারকা এরপর ম্যাচ শেষে যা বললেন, তাতে মিশে রইল অবসরের পরিষ্কার ইঙ্গিত। তিনি বললেন, ‘এটাই হতে পারে রোলাঁ গারোতে আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। তাই একটু বেশি আবেগ কাজ করছিল।’

তবে সেটা নিয়ে এখনও তিনি কিছু ভাবেননি। পরের আসর যখন মাঠে গড়াবে, তখন তার বয়স হয়ে যাবে ৩৯। শরীরও লাল মাটির টেনিস কোর্টের ধকল নিতে পারবে কি না তখন, নিশ্চিত নন জকোভিচ। মূলত সে কারণেই বিদায় বলে রাখলেন সবাইকে। 

তার কথা, ‘আমি জানি না আগামী ১২ মাস পরে আমি আবার এখানে খেলতে পারব কি না। খেলতে ইচ্ছে আছে, তবে পারব কি না বলা মুশকিল।’

এই টুর্নামেন্টের আগে জকোভিচকে হাতছানি দিয়ে ডাকছিল একাধিক রেকর্ড। আর একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেই তার মেজর শিরোপার সংখ্যা দাঁড়াবে ২৫-এ। সেটা হয়ে গেলে টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা খেলোয়াড় বনে যাবেন তিনি। ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে গেলে তিনি সবচেয়ে বেশি বয়সে পুরুষদের গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক শিরোপা জয়ীও হতে পারতেন। 

তবে তার সেসব রেকর্ড আর ছোঁয়া হলো না সিনারের দৃঢ় প্রতিরোধের সামনে। ৬-৪, ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) ব্যবধানে সরাসরি সেটে হারতে হলো তাকে। জকোভিচ অবশ্য এখনই অবসর নিচ্ছেন, অন্তত চলতি বছরটা খেলে যেতে চাইছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘উইম্বলডন আর ইউএস ওপেন খেলব। এই দুটি আমার পরিকল্পনায় আছে। বাকিগুলো নিয়ে নিশ্চিত নই।’

উইম্বলডন নিয়ে আলাদা আগ্রহ জানিয়ে বলেন, ‘উইম্বলডন আমার শৈশবের প্রিয় টুর্নামেন্ট। নিজেকে প্রস্তুত করতে আমি সবকিছু করব।’

২০২৩ সালের ইউএস ওপেনে ছিল জকোভিচের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। এরপর থেকে প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল তার গ্র্যান্ড স্ল্যামের অপেক্ষার। ঠিক এই সময়ে তার এমন অবসরের ইঙ্গিতে একটা প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে। অবসরের আগে জকোভিচ ২৫ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যামটা জিতে যেতে পারবেন তো?