সংসদে অনুপস্থিত মন্ত্রী-এমপিদের এক হাত নিলেন মোদি
সংসদে গরহাজির এমপি-মন্ত্রীদের কীভাবে ঠিক করতে হবে- তা ভালো করে জানা আছে বলে শাসালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এমপিদের বৈঠকে মঙ্গলবার নিজ দলের মন্ত্রী-এমপিদের হুশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘মুঝে সবকো ঠিক করনা আতা হ্যায়।’ খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এর একদিন আগে দলের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভাতেই আঙুল তুলে শাসিয়েছিলেন বিরোধী শিবিরের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে।
তিনশ পার করে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই দলের এমপি ও মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, সংসদে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। সারাক্ষণ সভায় বসে থাকতে হবে।
কিন্তু অধিবেশন প্রায় এক মাস গড়ানোর পর ঢিলেমি এসেছে এমপিদের মধ্যে। এমনকি সংসদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সময়ও হাজির থাকছেন না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরাই।
তা নিয়ে বিরোধী দলের নেতারা যেমন সংসদে প্রতিবাদ করছেন, তেমনই চিঠি লিখে নালিশ জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
সংসদ চলাকালীন প্রতি মঙ্গলবার বিজেপির এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংস হলেও সরকার যেহেতু নতুন, তাই সপ্তাহের অন্য দিনেও এমপিদের আলাদা গ্রুপ করে বৈঠক করছেন তিনি।
বৈঠকে মোদি বলেন, বিরোধী দলের নেতা আমাকে চিঠি লিখে নালিশ জানাচ্ছেন। মন্ত্রীরাই যদি সংসদে না থাকেন, তা হলে এমপিদের থাকতে বলি কী করে? আমি সবাইকে ঠিক করতে জানি।
শুধু এটুকু হুশিয়ারি দিয়েই মোদি ক্ষান্ত হননি। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে বানিয়ে দিয়েছেন ‘ক্লাস মনিটর’। যেসব মন্ত্রী সংসদে থাকছেন না, তাদের নাম লিখে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সেই তালিকা তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি বাজেট নিয়ে লোকসভায় দুদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনই হাজির ছিলেন না। প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে বসিয়ে রেখেছিলেন।
তিনিও সবসময় থাকেননি। তৃণমূলের সৌগত রায়সহ বিরোধীদের অনেকেই প্রশ্ন তোলেন- বাজেট নিয়ে আলোচনায় পূর্ণমন্ত্রীই থাকছেন না কেন? অনুরাগ অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। নালিশ গেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
কমেন্ট