মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন কমলা!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন কমলা!

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সিনেটর কমলা হ্যারিস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিন। মঙ্গলবার সমর্থকদের হতাশ করে আচমকাই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত টাকার অভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এদিন নিজের টুইটে প্রকাশ করা ভিডিওটিতে সমর্থক ও নির্বাচনী পরিচারে তাঁর সহকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কমলা। তিনি বলেন, অনেক ভাবনাচিন্তা করেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কোটিপতি নই, নির্বাচনী প্রচারে যে বিপুল খরচ হবে তা বহন করতে আমি অসমর্থ। তাই এখানেই প্রচার থামানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে প্রচার শেষ মানেই যে আমি লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দিয়েছি তা নয়। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আমার সংগ্রাম জারি থাকবে। তার এই টুইটের পরই পাল্টা টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, খুব খারাপ। আমরা তোমার অভাব বোধ করব। পাল্টা জবাব দিয়ে কমলা লিখেছেন, উদ্বিগ্ন হবেন না প্রেসিডেন্ট মহাশয়। আপনার বিচারে আমি থাকব। ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলার এই প্রস্থানে ২০২০ -র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। কারণ, দলে তিনিই একমাত্র অ-শ্বেতাঙ্গ প্রার্থী ছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এক সময় মনে করেছিলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্দরে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী নির্বাচনে কমলাই সবচেয়ে এগিয়ে। গত জানুয়ারি মাসে 'মার্টিন লুথার জুনিয়র ডে'-তে দলীয় নির্বাচনে প্রার্থী পদের দৌড় শুরু করেন সিনেটর কমলা হ্যারিস। প্রথমদিকে বিপুল সাড়া পেলেও, ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ে তাঁর প্রচার অভিযান। এছাড়াও, কৃষ্ঞাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দী জো বিডেনের জনপ্রিয়তা কমেনি। ফলে ওই ভোটব্যাংক থেকে আশানুরূপ সাড়া পাননি কমলা। সাউথ ক্যারোলাইনা, কালিফোর্নিয়ার মতো জায়গাগুলিতেও তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি তিনি। উল্লেখ্য, জামাইকান ও ভারতীয় বাবা-মার সন্তান কমলা ডেমোক্র্যাট দলের এক তারকা প্রার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালে প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ নারী সিনেটর হিসেবে ক্যালিফর্নিয়া থেকে নির্বাচিত হন কমলা। তার আগে সানফ্রান্সিস্কোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান সমালোচকও তিনি। কমলাকে নিয়ে পাঁচ জন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ে নেমেছিলেন। অন্য দিকে, রিপাবলিকান দলের তুরুপের তাস এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্প-ই। ফলে প্রচারে তাঁর প্রখর ট্রাম্প-বিরোধী স্বরই প্রধান অস্ত্র হবেন কমলা বলেই মনে করা হয়েছিল।
এনআরসি বেআইনি, মেনে নেওয়া হবে না : মমতা ব্যানার্জি পূর্ববর্তী

এনআরসি বেআইনি, মেনে নেওয়া হবে না : মমতা ব্যানার্জি

নিউইয়র্কে প্রচণ্ড তুষারপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত পরবর্তী

নিউইয়র্কে প্রচণ্ড তুষারপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত

কমেন্ট