দামেস্কের দখল নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো, অজানা গন্তব্যে বাশার

দামেস্কের দখল নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো, অজানা গন্তব্যে বাশার

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দখল নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। খবরে বলা হয়, অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। নভেম্বরের শেষ দিকে আকস্মিকভাবে সিরিয়ার আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর আলেপ্পোর দখল নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এরপরই বজ্রগতিতে শুরু হয় তাদের আক্রমণ।


আর এতে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আসাদ সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে। বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়, সিরিয়ার সেনাবাহিনী হয় তাদের অবস্থান থেকে সরে গেছে অথবা বিদ্রোহীদের দলে ভিড়ে গেছে।
আসাদ শাসনের অবসানে এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে ইসলামিক বিদ্রোহী গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। এই দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ, তুরস্ক এবং আরো কিছু দেশ।


হায়াত তাহরির আল-শামের পরিচয় ২০১১ সালে ভিন্ন এক নামে গঠিত হয়েছিল আজকের এইচটিএস। সরাসরি আল কায়েদার অংশ হিসেবে এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল 'জাবহাত আল-নুসরা' নামে। এর গঠনে যুক্ত ছিলেন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা আবু বাকার আল-বাগদাদি। প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে যে দলগুলো সংগ্রামরত ছিল তাদের মধ্যে জাবহাত আল-নুসরাকে সবচেয়ে কার্যকর ও মারাত্মক হিসেবে গণ্য করা হতো।


তবে 'স্বাধীন সিরিয়া' গঠনে বিদ্রোহীদের যে জোট হয়েছিল, সেখানে বিপ্লবী মনোভাবের চাইতে জিহাদি মতাদর্শই এইচটিএসের চালিকাশক্তি বলে মনে হয়েছিল।
২০১৬ সালে গ্রুপটির নেতা আবু মোহাম্মেদ আল-জাওলানি জনসমক্ষে আল কায়েদা থেকে বেরিয়ে আসেন এবং জাবাত আল-নুসরা বিলীন করে নতুন সংগঠন গড়ে তোলেন। আর নতুন ওই সংগঠনের নাম হয় 'হায়াত তাহরির আল-শাম'। বছরখানিক বাদেই সংগঠনটি সমমনা কয়েকটি দলের সঙ্গে একীভূত হয়। এইচটিএস ইদলিব প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে তার শক্তিমত্তার জানান দেয় এবং প্রকৃতপক্ষেই সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন হয়ে ওঠে।


যদিও তাদের বৈধতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অন্যান্য কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গেও তিক্ত অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে তারা।
আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পর তাদের লক্ষ্য সিরিয়ায় ইসলামি মৌলবাদ প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। বিস্তৃত পরিসরে খেলাফতের কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল না, যা আইএস করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। সিরিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই সংঘাতে বড় পরিসরে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রেও তাদের নগন্য প্রচেষ্টা দেখা গেছে। 

দামেস্ক ছেড়ে পালাননি বাশার, দাবি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের পরবর্তী

দামেস্ক ছেড়ে পালাননি বাশার, দাবি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের

কমেন্ট