আজারবাইজানের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সম্মত প্রধান উপদেষ্টা
কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংকট নিরসনে সৌদি আরবের ‘চেষ্টা’
ভারতশাসিত কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৌদি আরব উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে বলে শুক্রবার একজন ঊর্ধ্বতন সৌদি কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন। রিয়াদ থেকে এএফপি বাংলাদেশ সময় শনিবার এই খবর জানিয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবার ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। এতে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়।
নয়াদিল্লি এই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছে। অবশ্য পাকিস্তান জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্যেষ্ঠ এক সৌদি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সৌদি আরব প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ‘দুটি দেশ সৌদি আরবের মিত্র এবং আমরা চাই না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাক।’
এ ছাড়া সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানের কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি ভারতীয় ও পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথকভাবে ফোনে কথা বলেছেন। আলোচনার সময় তিনি ‘পরিস্থিতির উন্নয়ন ও উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেছেন’।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত ছিল। উভয় দেশই সমগ্র ভূখণ্ডের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে।
মঙ্গলবারের হামলার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরবে সরকারি সফরে ছিলেন। হামলার খবর পেয়ে তিনি তার সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
সৌদি আরব বিভিন্ন ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে।
ফেব্রুয়ারিতে তারা মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করে, যার লক্ষ্য ছিল সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা। রিয়াদ সুদানের যুদ্ধ এবং লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিয়েও আলোচনার আয়োজন করেছে।
কমেন্ট