ভারতের ‘সম্ভাব্য উসকানিমূলক অভিযান’ ঠেকাতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান
ভারতের ‘সম্ভাব্য উসকানিমূলক অভিযান’ ঠেকাতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী—এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির একজন শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের যেকোনও আগ্রাসনের জবাব ‘এক ধাপ বেশি শক্তি’ দিয়ে দেওয়া হবে।
‘দ্য নিউজ’ পত্রিকাকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, সীমান্তে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।
তার মতে, এ প্রস্তুতি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভা ও রাজনৈতিক মহলের মধ্যে আস্থার সঞ্চার করেছে। এটি প্রমাণ করে যে যুদ্ধোন্মাদ ভারতকে প্রতিহত করতে সম্পূর্ণ সক্ষম পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
এদিকে, ভারতে নিজ দেশেই কিছু বিশ্লেষক আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা প্রবীণ সাহনি মনে করেন, দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ এখনই সম্ভব নয়। বরং পাকিস্তান সামরিকভাবে ভারতের চেয়ে বর্তমানে এগিয়ে আছে বলেই তিনি মনে করেন।
এক ভারতীয় প্রতিরক্ষা সাময়িকীতে সাহনি লেখেন, আজকের দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিশাল ব্যবধানে ছাপিয়ে যাবে। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল এবং রাজ্য বিভাজনই এর অন্যতম কারণ।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, পাকিস্তানের ছয় লাখ সেনা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৩ লাখ সদস্যের সঙ্গে কার্যকরভাবে পাল্লা দিতে সক্ষম হয়েছে দুটি কারণে—এক, ১৯৪৮ সালে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক গোয়েন্দার জন্য আইএসআই গঠন ছিল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ; দুই, পাকিস্তানের কৌশলগত স্তরটি অনেক বেশি শক্তিশালী যা সরাসরি সামরিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের অধীনেই পুরো বাহিনী থাকায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্রুততা দেখা যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। অপরদিকে, ভারতে সামরিক ও বেসামরিক স্তরের হস্তক্ষেপ কার্যকর সমন্বয়কে ব্যাহত করে।
এছাড়া পাকিস্তান চীনের সহায়তায় ইলেকট্রনিক ও সাইবার যুদ্ধেও এগিয়ে রয়েছে, যা ভারতের মোবিলাইজেশন এবং বিমানবাহিনীর কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির ‘অপারেশন সুইফট রিটোর্ট’-এর সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুর্বলতা উন্মোচিত হয়। তখন থেকেই পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং ইলেকট্রো-স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আছে। চীনা ড্রোন, এআই প্রযুক্তি ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানকে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে।
কমেন্ট