রোমানিয়ার অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের পুনঃভোট
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো সদস্য দেশ রোমানিয়ায় আজ রবিবার (৪ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের পুনঃভোট। এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগে নির্বাচনের ফল বাতিলের পর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে দেশটি।
বার্তা সংস্থা এপি’র তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৮ মে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফার ভোট।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে রেকর্ড ৪ লাখ ২৫ হাজার আগাম ভোট পড়েছে বিদেশে অবস্থানকারী রোমানীয়দের কাছ থেকে।
গত বছর কট্টর-ডানপন্থি ও বিতর্কিত প্রার্থী ক্যালিন জর্জেস্কু প্রথম ধাপে এগিয়ে থাকলেও, নির্বাচনি অনিয়ম ও রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগে সর্বোচ্চ আদালত সেই নির্বাচন বাতিল করে দেয়। তবে মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এরপর নির্বাচন বাতিল হওয়া ও জর্জেস্কুকে পুনঃভোট থেকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইলন মাস্ক এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কথা বলেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রোমানিয়ার অর্থনৈতিক দুরবস্থা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ তুঙ্গে। এ প্রেক্ষিতে জাতীয়তাবাদী ও ডানপন্থি প্রার্থীদের প্রতি জনসমর্থন বেড়েছে।
এই আবহে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারা জর্জেস্কুর ঘনিষ্ঠ কট্টর জাতীয়তাবাদী নেতা জর্জ সিমিয়ন। ‘রোমানিয়া ফার্স্ট’ স্লোগানে প্রচারে চালিয়েছেন তিনি।
ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সিমিয়নে বলেন, ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো সাংবিধানিক শৃঙ্খলায় ফিরে যাওয়া এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।’
অন্যদিকে, গণিতবিদ ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিত বুখারেস্টের মেয়র ও গণতন্ত্রপন্থী প্রার্থী নিখুশোর দান বলেন, ‘আমি আশার পক্ষে ভোট দিয়েছি, বাস্তবতাকে সামনে রেখে একটি নতুন শুরু চাই।’
এদিকে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও মধ্যপন্থি প্রার্থী ক্রিন এনটোনেস্কু বলেন, ‘আমি একটি ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ রোমানিয়ার জন্য ভোট দিয়েছি।
’
এনটোনেস্কু বর্তমান সরকার সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে পশ্চিমা জোটের প্রতি আস্থা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর পোন্টাও এবার নির্বাচন করছেন ‘রোমানিয়া ফার্স্ট’ স্লোগানকে সামনে রেখে। যেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
কমেন্ট