মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদে হঠাৎ ব্যাপক ছাঁটাই, কাঠামোগত রদবদল

মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদে হঠাৎ ব্যাপক ছাঁটাই, কাঠামোগত রদবদল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) থেকে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ মে) হঠাৎ করেই ডজনখানেক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের আকার ও কার্যক্ষমতা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তত পাঁচটি সূত্র। খবর রয়টার্সের।


সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেন, কাশ্মীরসহ বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়েছে।

এটি এমন এক সময় ঘটলো, যখন মাইক ওয়াল্টজের জায়গায় মার্কো রুবিও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এই পুনর্গঠন এনএসসি-এর ক্ষমতা অনেকটাই সীমিত করে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজের পরিকল্পনা অনুযায়ী এনএসসি-এর মোট কর্মী সংখ্যা কমিয়ে মাত্র ৫০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে এই পরিষদের আকার ছিল ৩০০-এর বেশি।

 

যারা ছাঁটাই হয়েছেন, তাদের অনেককে সরকারি অন্যান্য বিভাগে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে দুটি সূত্র। তবে হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে অনেক কর্মকর্তা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এনএসসি-এর সদর দপ্তর আইজেনহাওয়ার এক্সিকিউটিভ অফিস বিল্ডিংয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি অনেক কর্মকর্তা।

পুনর্গঠনের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শক্তিশালী সংস্থা থেকে প্রেসিডেন্টের নীতি বাস্তবায়নের জন্য একটি ক্ষুদ্র সহায়ক দপ্তরে রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। এর ফলে পররাষ্ট্র দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর দায়িত্ব আরও বাড়বে।

অনেক কনজারভেটিভ বহুদিন ধরে এসএসসি-এর আকার ছোট করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন, তাদের মতে অনেক বিভাগে একই ধরনের কাজ একাধিকবার হচ্ছে, যা অপ্রয়োজনীয়।

অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট ও কিছু রিপাবলিকান এই ছাঁটাইয়ের সমালোচনা করে বলছেন, এতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতিগুলো অভিজ্ঞ ও বিশ্লেষণভিত্তিক পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হবে।


এসএসসি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্য জনবল নিয়োগে ব্যর্থ হয়েছে। ল্যাটিন আমেরিকা বিষয়ক শীর্ষ পদটি স্থায়ীভাবে কখনোই পূরণ করা হয়নি।

এর আগেও বছরের শুরুতে একাধিক সিনিয়র স্টাফকে ছাঁটাই করা হয়েছিল, যখন কট্টর ডানপন্থী কনস্পিরেসি থিওরিস্ট লরা লুমার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ‘বিশ্বস্ত নয়’ এমন কর্মকর্তাদের তালিকা তুলে দেন।

এছাড়া, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ভুলবশত ইয়েমেনে সম্ভাব্য বিমান হামলার তথ্য এক সাংবাদিককে জানিয়ে ফেলেন, যা এসএসসি-এর ভেতরেও উদ্বেগ তৈরি করে।

ক্ষমতায় থাকতেই গাজা যুদ্ধ চালাচ্ছেন নেতানিয়াহু, মনে করেন অধিকাংশ ইসরায়েলি পরবর্তী

ক্ষমতায় থাকতেই গাজা যুদ্ধ চালাচ্ছেন নেতানিয়াহু, মনে করেন অধিকাংশ ইসরায়েলি

কমেন্ট